নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে আরজেএফ ও ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আবু সাঈদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক আবু সাঈদ কে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের বিজরুল গ্রামে। ঘটনা সূত্রে ও স্থানীয়দের তথ্যে জানাযায়, পূর্বে বিজরুল গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুরের বাড়ি সরকারী চাল উদ্ধার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে প্রশাসন। এই ঘটনায় সাংবাদিক আবু সাঈদ কে দায়ী করে আসছে হাফিজুরের পরিবার। বিগত দিনে সাংবাদিক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে গতকাল সোমবার (৬ই সেপ্টেম্বর) বগুড়া ফুলতলা একালায় হাফিজার একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া করার সময় হাতে নাতে ধরা পরে সেখান কার স্থানীয়দের কাছে। এই ঘটনায় সাংবাদিক আবু সাঈদ কে তথ্যদাতা দাবী করে তার উপর হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করে হাফিজার। এর পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ই সেপ্টেম্বর) সকাল সারে ১০টায় সাংবাদিক আবু সাঈদ বিজরুল বাজারে ফ্লেক্সি লোড দিতে আসলে হাফিজার ও তার ভাই ইউসুফ সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সাংবাদিক আবু সাঈদের আত্মচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে হাফিজুর সহ হামলা কারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় হাসপাতালে সাংবাদিক আবু সাঈদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাফিজুরের বাড়ি থেকে সরকারী চাল উদ্ধারের পর থেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে হাফিজার ও তার পরিবার। এর আগে হাফিজার ও তার পরিবার আমার উপর হত্যা চেস্টা চালিয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে জেলা এসপি বরাবর অভিযোগও দেয়া আছে। আজ হঠাৎ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালিয়েছে। উক্ত বিষয়ে হাফিজারের পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সাংবাদিক আবু সাঈদ হাফিজার কে চাল চোর বানিয়েছে, এছারাও গত কাল সোমবার বগুড়াতে একটি মেয়ে দিয়ে হাফিজুরকে ফাঁসিয়েছে এই কারনে তার শিক্ষা হওয়া দরকার, তবে এসব বিষয়ে ধারনা ছাড়া কোন প্রমান দিতে পারেনি হাফিজুরের পরিবার। উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক আবু সাঈদের উপর হামলার ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমরা ঘনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এবং ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফ্রটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। সাংবাদিক আবু সাঈদ এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে হাফিজার ও তার বাহিনী। উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলার সকল সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মীরা এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।